Showing posts with label Islamic BD. Show all posts
Showing posts with label Islamic BD. Show all posts

ডোম অফ দ্য রক ও মসজিদ আল-আকসা শরীফ নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান! সবাই শেয়ার করুন...


পুরনো জেরুজালেমে অবস্থিত দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা 'ডোম অফ দ্য রক' এবং 'মসজিদ আল আকসা' নিয়ে মুসলিম বিশ্বে কিছু বিভ্রান্তি আছে যা নিয়ে এ লেখাটির অবতারণা।কারণ অনেকেই মসজিদ আল আকসার ছবি বুঝাতে ডোম অফ দ্যা রকের ছবি দিয়ে দেন।
১.Dome of the Rock ( https://en.wikipedia.org/wiki/
Dome_of_the_Rock )- ইংরেজিতে Dome of the Rock, বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায় 'পাথরের (উপর নির্মিত) গম্বুজ'। ৬৯১ খ্রিষ্টাব্দে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ববাহী বিবিধ কারণে পুরনো জেরুজালেমের পবিত্র 'টেম্পল মাউন্ট' (Temple Mount – আরবী ﺍﻟﺤﺮﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻒ al Haram ash-Sharif – The Noble Sanctuary) চত্বরের কেন্দ্রস্থলে এই স্থাপনাটি নির্মাণ করেন।
এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এই স্থাপনাটি মূলত: মসজিদ হিসেবে নির্মিত হয়নি (মূল অংশে কোন মিম্বর নেই), বরং মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী হাদিসে বিশদভাবে বর্ণিত যে পবিত্র পাথরের উপর থেকে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মি'রাজে (Ascension to Heaven) গমন করেছিলেন বলে ধারণা, জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্ট চত্বরের কেন্দ্রস্থিত সেই Foundation Stone বা ভিত্তিপ্রস্তরকে ঘিরে একটি shrine (মাজার) হিসেবে এই স্থাপনাটি নির্মিত। অটোমান সম্রাট সুলেমান (Suleiman the Magnificent) এর শাসনামলে ডোম অফ দ্য রকের বাইরের দেয়াল সুদৃশ্য টাইল দিয়ে আচ্ছাদিত হয়। ১৯৫৫ সালে জর্ডানের সরকার অন্যান্য আরব রাষ্ট্র ও তুরস্কের সহায়তায় প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাটির মেরামত কাজ শুরু করে। এই পুনরুদ্ধার কাজের অংশ হিসেবে ১৯৬৫ সালে এর সীসা (Lead) আচ্ছাদিত গম্বুজটি ইটালিতে তৈরি অ্যালুমিনাম-ব্রোঞ্জ সংকর ধাতু দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে জর্ডানের কিং হুসেইন প্রদত্ত ৮.২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ৮০ কিলোগ্রাম স্বর্ণ দিয়ে গম্বুজটি পুরোপুরি আচ্ছাদন করা হয়। জেরুজালেমের যে কোন প্রান্ত থেকে ডোম অফ দ্য রকের উজ্জ্বল সোনালী গম্বুজটি চোখে পড়ে।
২. আল আকসা মসজিদঃ ( https://en.wikipedia.org/wiki/Al-Aqsa_Mosque)
জেরুজালেমের টেম্পল মাউন্ট চত্বরে উপরোল্লিখিত 'ডোম অফ দ্য রক' স্থাপনাটির ২০০ মিটার দক্ষিণে রয়েছে ধূসর সীসায় (lead) আচ্ছাদিত গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ যা সুনির্দিষ্টভাবে 'মসজিদ আল-আকসা শরীফ' নামে পরিচিত।
প্রায় ১৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য সম্বলিত গুরুত্বপূর্ণ এ দু'টি স্থাপনাই মুসলিমদের তৈরি এবং পুরো এলাকাটিই পবিত্র স্থান ( ﺍﻟﺤﺮﻡ ﺍﻟﺸﺮﻳﻒ – the Noble Sanctuary) হিসেবে গণ্য হলেও ইহুদিবাদী মিডিয়া আল আক্বসা শরীফ কে প্রচার করে অচিরেই আল আক্বসা শরীফ ধংসের পায়তারা করছে, যা থেকে সবাই কে সাবধান থাকতে হবে।
এবং সবাইকে অনুরোধ যারা যারা আল আক্বসা শরীফ মনে করে রক অফ ডোম এর ছবি প্রফাইল বা কভার পিকচার এ ব্যবহার করেছেন তারা দ্রুত চেঞ্জ করে অরিজিনাল আল আক্বসা শরীফ এর ছবি ব্যবহার করুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।

||| ||পোষ্টটি শেয়ার করুন।
আর মন্তব্য করে আপনার মতামত দিন,কোন ভূল দেখলে দলীল সহকারে বুঝিয়ে বলুন,সংশোধন করা হবে,ইনশাআল্লাহ..............
"আল্লাহ আমাদের কে সঠিকভাবে দ্বীনের উপর কায়েম থাকার তৌফিক দান করুন,আমীন,,,,, _______________প্রচারে: তাহরিকে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ(ভোলা শাখা)
         _______________________

পবিত্র আল আকসার কান্না : এক দীর্ঘ ইতিহাস.....!


৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উমার রা. এর খেলাফত আমলে আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা এর নেতৃত্বে মুসলমানরা কুদস জয় করে। ১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম ক্রুসেড যুদ্ধে ক্রুসেডারদের হাতে কুদসের পতন ঘটে। এর মধ্য দিয়ে কুদসে মুসলমানদের ৪৬২ বছরের শাসনের বিলুপ্তি ঘটে। তার পর দীর্ঘ ৮২ বছর এটি খ্রিষ্টানদের দখলে থাকে। ১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে হিত্তিনের যুদ্ধে সালাহুদ্দিন আইয়ুবী ক্রুসেডারদের সম্মিলিত শক্তিকে পরাজিত করে কুদসকে শত্রুমুক্ত করেন। ১৯৪৮ সালে বিশ্বমোড়লদের চক্রান্তের ফসল স্বরূপ মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইল নামক জারজ রাষ্ট্রটির জন্ম হলে পশ্চিম কুদস মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। কিন্তু পূর্ব কুদসে অবস্থিত হওয়ার কারণে আল-আকসা তখন আপাতত রক্ষা পায়। ১৯৬৭ এর জুন মাসে মাত্র ৬ দিনের যুদ্ধে মিসর, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরাকের মতো চারটি আরব রাষ্ট্রের প্রতিরোধ বুহ্য ধ্বংস করে দিয়ে ইসরাইল পূর্বকুদস, পশ্চিমতীর, গাজা এবং গোলান মালভূমি দখল করে নেয়। দীর্ঘ ৭৮০ বছর পর পবিত্র আকসা থেকে আবারও হেলালী নিশান খসে পড়ে। উমার এবং আইয়ুবীর আমানত আবারও মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আল-আকসা কেঁদে চলেছে এবং আরেকজন আইয়ুবীর জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।

ইনশা আল্লাহ আল আকসা একদিন মুক্ত হবে। নিশ্চয়ই হবে। ইতিহাসের অমোঘ বিধানও তা-ই বলে। কিন্তু দুশ্চিন্তার জায়গাও অনেক। আশেপাশে যখন চোখ মেলে তাকাই তখন সেখানে কোন আলোই দেখতে পাইনা। ১৯২০ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ফরাসী জেনারেল Henri Gouraud দামেস্ক দখল করে সালাহুদ্দীনের কবরে লাথি মেরে বলেছিল- "সালাহুদ্দীন, দেখো আমরা ফিরে এসেছি। ২য় আর কোন সালাহুদ্দীন জন্ম নিতে পারবে না।" ১০০ বছর পর্যন্ত পশ্চিমারা জেনারেল হেনরির কথাকে সত্য প্রমাণ করে দেখিয়েছে। তাদের চ্যালাঞ্জকে মিথ্যা প্রমাণ করতে আমাদের আর কতোদিন লাগবে? আদৌ পারবো কি?

হিত্তীন আর কুদস বিজয়ের কথা উঠলে আমাদের চোখে সালাহুদ্দীনের চেহারা ভেসে উঠে। কিন্তু ইতিহাসবিদরা বলছেন অন্য কথা। তাদের মতে- কুদস বিজয়ের ক্ষেত্রে সালাহুদ্দীনের যতোটুকু অবদান ঠিক ততোটুকু অবদান সেই ৬০ হাজার যোদ্ধাদের যারা নিজেদেরকে সালাহুদ্দীনের সেনাবাহিনীর গর্বিত সদস্য হওয়ার মতো যোগ্য করে গড়ে তুলেছিলেন। ওইসব মায়েদের অবদান যারা তাদের শিশুদেরকে আরব্য-রজনীর রূপকথার গল্পের পরিবর্তে খালিদ-মুসান্নার বীরত্বের কাহিনী শুনিয়ে ঘুম পাড়াতেন। ওইসব শিশু-কিশোরদের মধ্য থেকেই সালাহুদ্দীন উঠে এসেছিলেন, ঘোড়সওারী, তেগচালনা, তিরান্দাজী, নেযাবাজীই ছিল যাদের বিনোদনের মাধ্যম। তারপরও আল্লাহ তায়ালা ৮৮ বছর ধরে তাদের পরীক্ষা নিয়েছিলেন। তারপর তাদেরকে কাঙ্খিত বিজয় দান করেছিলেন।
কিন্তু আজকের মায়েরা তাদের সন্তানের চেহারায় বিলগেটস আর এঞ্জেলিনা জোলির ছবি দেখে। আজকের কিশোররা মেসি-রোনালদো আর রিয়াল-বার্সায় বুঁদ হয়ে আছে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা লাগাতে গিয়ে আমরা বৈদ্যুতিক তারে জীবন দিতে পারি। এখন যদি আল্লহ দয়া করে সালাহুদ্দীনকে কবর থেকে উঠিয়ে আমাদের মাঝে ফিরিয়েও দেন তখনও আমাদের উত্তর হবে বনী ইসরাইলের মতো- "আপনি এবং আপনার খোদা দুইজনে মিলে লড়াই করেন গিয়ে। আমাদের আমোদফুর্তিতে ডিস্টার্ব করবেন না প্লীজ।" তাই সালাহুদ্দীনের জন্য অপেক্ষা নয়, তার সৈনিক হতে পারার মতো নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলাই হচ্ছে আজকের আল-আকসার দাবী।

১৯৬৯ সালে এক অস্ট্রেলীয় ইহুদী নাগরিক আল আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন বেশ বড় আকার ধারণ করেছিলো। যার ফলে মসজিদের পূর্বপাশটা পুরোপুরি পুড়ে যায়। ইসরাইলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডামায়ার ওইদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেছেন- "ওই দিন সারা রাত আমার ঘুম হয় নি। আমার কেবলই মনে হচ্ছিলো আজকে ইসরাইলের শেষ দিন। এখনি আরবরা চতুর্দিক থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু যখন সকাল হল এবং আমার কোন আশংকাই বাস্তব হলো না তখন আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে, এখন থেকে ইসরাইল নিরাপদ। আরবরা এখন ঘুমন্ত জাতি। আমরা তাদের এই ঘুম আর ভাঙতে দেব না"।
গত ১৪ই জুলাই ঘটনা শুরু হওয়ার পর লাগাতার ৬ দিন আকসায় আযান, নামায সব বন্ধ ছিল। প্রথম ৩ দিন কোন ফিলিস্তিনিকেই আকসায় ঢুকতে দেয়া হয় নি। সেখানে ইসরাইলী সেনা এবং বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদলের প্রতিনিয়ত আনাগোনা ছিল। তারা সেখানে তিন দিন ধরে কী করেছে তা কেউ জানে না। আল-আকসার ওয়াকফ সম্পত্তি এবং কুদসের মুসলমানদের সব ডেমোগ্রাফিক ডকুমেন্ট সেখানে রক্ষিত থাকে। সেগুলো এখনও সংরক্ষিত আছে কি না সে ব্যাপারে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
৬৯ সালের ঘটনাটির পর এটিই হচ্ছে মসজিদে আকসায় ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা। কাতার, তুরস্ক, জর্ডান ছাড়া আর কোন রাষ্ট্র এই ঘটনার নিন্দা জানায় নি। যারা সন্ত্রাসের দোহায় দিয়ে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তাদের মুখ দিয়ে আকসার জন্য একটি বাক্যও বের হয় নি। মুসলমানদেরকে তাদের সন্ত্রাসী মনে হয়। হামাসকে তাদের সন্ত্রাসী মনে হয়। কিন্তু ইসরাইলী বর্বরতাকে তাদের বৈধ আধিকার চর্চা মনে করে। গত জুমার দিনটি ছিল আকসার জন্য জীবন দেয়ার দিন। গোটা কুদস এবং তার আসে পাশের শহরগুলোতে ওইদিন জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় নি। সবাইকে আকসায় এসে জুমা পড়তে বলা হয়েছে। জুমার আগে ও পরে পুরা আকসা প্রাঙ্গণ যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে। তিনজন ফিলিস্তিনি ভাই শাহাদাত বরণ করেন। তুরস্কসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ওই সময় ফিলিস্তিনীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে মিছিল সমাবেশ করা হয়। ঠিক ওইদিন মসজিদুল হারামে শায়খ শুরাইম জুমার খুতবা দেন। ২০ মিনিটের খুতবায় তিনি প্রচ্ছন্নভাবে কাতারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে গেছেন এবং উম্মাহর ঐক্যের মাঝে ফাটল ধরাচ্ছে বলে কাতারের ব্যাপারে মানুষদেরকে সতর্ক করেছেন। একদম শেষে দোয়ার অংশে এসে আকসার জন্য দুটি দোয়া বাক্য ব্যায় করলেন। আরেক সৌদি সালাফী শায়খ ফতওয়া দিয়েছেন- এখন ফিলিস্তিনীদের আল আকসার দাবী ছেড়ে দেয়া দরকার। কারণ, সেটি এখন ইহুদীদের দখলে। আর ইহুদীরা হচ্ছে এখন শক্তিশালী। তাই তাদের সাথে সংঘাতে জড়ানো "হেকমতের খেলাফ" হবে। ইসলামে বিজয়ী শক্তির আনুগত্য করার বিধান আছে, যাকে আরবিতে ( ﺇﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﺍﻟﻤﺘﻐﻠﺐ ) বলা হয়।" এসব **মারানীর হেকমতগুলো শুধু সৌদিদের মাথায় কীভাবে আসে তা-ই এখন এক বিশাল গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আল্লাহ না করুন কাল যদি হারামাইনও আল আকসার পরিণতি বরণ করে তখনও তারা ঠিক কোন একটি হেকমত বের করে নিবে। যারা আকসার ব্যাপারে নির্লিপ্ত আছে, আল্লাহর কসম, তারা হারামাইনের ব্যাপারেও নির্লিপ্ত থাকবে।
আকসার ঘটনার পরে ফিলিস্তিনের টিভি চ্যানাল "আল- আকসা"র একজন সাংবাদিক ৩০ জন সৌদি আলেমের সাথে যোগাযোগ করে চলমান ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেন। তাদের মধ্যে একজনও সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয় নি। তারা আল্লাহর চেয়ে তাদের শাসকদেরকে বেশী ভয় করে। তাদের আনুগত্য করাকে বেশী প্রাধান্য দেয়। গতকাল ইসরাইলী পত্রিকা "মাআরিফ" লিখেছে- "ইসরাইল হচ্ছে সৌদি আরবের গোপন প্রেমিকা। এখন আর গোপন অভিসার নয়, প্রকাশ্যেই মৈত্রী করতে চায়"। ওইদিন ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখছিলাম। ফিলিস্তিনের আল খলীল শহরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক ইহুদী ফিলিস্তিনিদেরকে চরমভাবে গালি দিচ্ছে আর বলছে- তোদের মাথা থেকে ফিলিস্তিনের ভুত এখনও নামে নি? দেখ, মিসর, জর্ডান। সৌদি আরব সব আমাদের পক্ষে এখন। জাহান্নামে যাক তোদের ফিলিস্তিন।"
একটি ঘটনা বলে শেষ করছি-
১০৯৯ সালের পরের কোন এক সময়। তখন কুদস খ্রিষ্টান ক্রুসেডারদের দখলে। বাগদাদ শহরে একজন কাঠমিস্ত্রি থাকতো। লোকটি একদিন খুব সুন্দর একটি মিম্বার বানালেন। চারিদিক থেকে লোকেরা দলে দলে এসে মুগ্ধ হয়ে মিম্বারটি দেখছে। ক্রেতারা বেশ চড়া মুল্য দিয়ে হলেও মিম্বারটি কিনতে চায়। কিন্তু বুড়োর এক কথা- তিনি এটি বিক্রি করবেন না। লোকেরা জিজ্ঞেস করলো- তা হলে আপনি এতো কষ্ট করে এটি বানালেন কেন? তখন মিস্ত্রি উত্তর দিলেন- এটি বানিয়েছি মসজিদে আকসায় লাগানোর জন্য। লোকেরা তার কথা শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল। আকসা এখনও খ্রিষ্টানদের দখলে আর এই বুড়ো বাগদাদে বসে তার জন্য মিম্বার বানাচ্ছে। কেউ কেউ তাকে পাগলও ঠাওরাল। তখন বৃদ্ধ কাঠমিস্ত্রি বললেন- এটিই তো আমার পেশা। আমি তো আর যোদ্ধা নই। তার উপর আবার বৃদ্ধ। তো আমার যা সাধ্যে আছে তা-ই মসজিদে আকসার জন্য ব্যায় করছি। আমার কাজ মিম্বারটি বানানো। সেটি আকসায় বসানোর লোক আল্লাহ ঠিক করে দেবেন। ওইদিন একটি শিশুও তার বাবার হাত ধরে ওই কাঠমিস্ত্রির মিম্বারটি দেখতে গিয়েছিল। ঠিক একদিন ওই শিশুটির হাতে কুদস বিজয় হয়, এবং তিনি মিম্বারটি সংগ্রহ করে নিজ হাতে তা মসজিদে আকসায় লাগিয়ে দেন। শিশুটির নাম ছিল সালাহুদ্দীন!
যার যা আছে তা-ই ফিলিস্তীনের জন্য ব্যায় করুন। যেভাবে পারেন। যেখানে পারেন। কোন প্রচেষ্টাকেই খাটো করে দেখবেন না। বাগদাদের কাঠমিস্ত্রি যদি একটি শিশুর মনে কুদস বিজয়ের নেশা ধরিয়ে দিতে পারে আপনার আমার প্রচেষ্টার মাধ্যমেও ইনশা আল্লাহ অনেক কিছু হবে। তা যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন।
আল্লাহ, 'মুক্ত আকসাকে' দেখার আগে তুমি এই দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নিওনা।
বি:দ্রঃ 'কুদস' বলুন, 'জেরুজালেম' নয়।
copy......

ইবলিশ ও ওহাবীদের মাঝে কথপোকথন - ওহাবীদের মুখোশ উম্মোচন......


ইবলিশ এবং ওহাবীদের কথপোকথন:
------------------------------
---------------------
ইবলিশ - আমি হাজার বছর ফেরেশতাদের সরদার ও শিক্ষক ছিলাম, হাজার বছর জান্নাতের মুন্ত্রী ছিলাম ও হাজার বছর খোদার আরশের তাওয়াফ করেছি ।
আমার নাম প্রথম আসমানে আবিদ, দ্বিতীয় আসমানে জাহিদ, তৃতীয় আসমানে বেলাল, চতুর্থ আসমানে অলী, পঞ্চম আসমানে মুত্তাকী সষ্ট আসমানে আজাজিল ছিল । এখন ইনসাফ করে বল, ওহাবীর দল ?? ?
(১) তোরাও তৌহীদবাদী আমিও তৌহীদবাদী।
(২) আমিও নামাজ খুব পড়তাম তোরাও খু্ব নামাজ পড়িস ।
(৩) আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে সম্মান করতাম না, তোরাও আমাকে অনুসরন করিস, তোরাও আল্লাহ ছাড়া কাউকে সম্মান করিস না ।
(৪) আমি আম্বিয়া গনের অসম্মান, বিরধীতা করতাম তোরাও করিস ।
(৫) আমি আল্লাহর রসুলদিগের মর্যাদা দিতাম না ও মানতাম না, এখানে তোরাও আমার সঙ্গী ।
(৬) আমি আম্বিয়াগনকে বাশার বা সাধারন মানুষ মনে করতাম, তোরাও তাই করিস ।
(৭) আমি ঈদে মিলাদুন নবী বা নবীর আর্বিভাব দিবসে চিতকার দিয়ে কেঁদেছিলাম তোরাও দেখি উক্ত দিনে দুঃখী৷
আমি নবী ও রসুলদিগের অবমান্যনা করি, তোরাও করিস । এখন তোরা ইনসাফ করে বল আমি কেন হলাম শয়তান?????????
????????
তোরা কেন মুসলমান ? ? ? ? ?
যে কাজ করার কারনে আমাকে চিরতরে জান্নাত থেকে শয়তান বলিয়া বহিস্কার বা বিতাড়িত করা হইল সেই কাজ তোরা দুনিয়াতে করে কি ভাবে জান্নাত যাওয়ার আশা রাখিস ? ? ? ?
কেমন করে যাবি জান্নাতে ? ? ?
হায়রে ওহাবীরা তোরা আমার চেয়ে বড় শয়তান।

প্রশংসার আড়ালে লুকিয়ে আছে লাম্পট্য আর অসৎ কামনা...!


কষ্ট হলেও ১বার পড়বেন!!
বাস্তবতায় শেখার কিছু আছে!

১.ভাবী,আপনি দুই বাচ্চার মা! আপনাকে দেখলে কেউ বিশ্বাসই করবে না,
দেখে মনে হয়, মাত্র মাধ্যমিক পাশ করছেন! সিরিয়াসলি!
২. ম্যাডাম,একটা কথা বলবো অনেকদিন থেকে ভাবছি! কিন্তু বলবো বলবো করে বলা হচ্ছে না। আপনি এমনিতেই সুন্দর। কিন্তু নাকের পাশের তিলটা আপনাকে একদম পরী বানিয়ে দিয়েছে। এত্ত সুন্দর। জাস্ট অসাধারণ লাগে!
৩. মন খারাপ কেন ভাবী,ঝগড়া টগড়া করলো নাকি? আপনার মতো এ রকম একটা মানুষের সাথেও ঝগড়া করা যায়? বিশ্বাসই হচ্ছে না!
৪. একটা কথা বলি আপু,কিছু মনে করবেন না তো? আপনার কণ্ঠটা এত্ত সুন্দর! কোনো প্রিয় গান বারবার শুনলেও যেমন বিরক্তি লাগে না, আপনার কথাবার্তাও স্টাইলও এরকম। টানা ২৪ ঘন্টা শুনলেও বোরিং লাগবে না!
৫. আপনি যা ইচ্ছা মনে করতে পারেন, আজ থেকে আপনাকে আর আন্টি ডাকবো না, বলে দিচ্ছি। হুঁ! দেখলে মনে হয় আবার বিয়ে দেওয়া যাবে, আর আপনাকে ডাকবো আন্টি? না, আর না!
৬. একটা কথা বলবো? নীল শাড়ীতে আপনাকে দারুণ মানিয়েছে! না না, তেল দিচ্ছি না, সত্যি বলছি! সত্যি অনেকটা কোয়েল মল্লিকের মতো লাগে আপনাকে!
৭ জন্মদিনে এবার কি কি করলেন আপনারা?
আপনার ভাই অফিসের কাজে ব্যস্ত!!!!
কি যে বলেন! আমি এরকম একটা বউ পেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক সপ্তাহের ছুটি নিতাম! হাসবেন না, সিরিয়াসলি!
বিঃ দ্রঃ - অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কিছু কিছু মানুষ আছে, নিজের অফিসের কলিগ,পাশের বাসার ভাবী,কিংবা বন্ধুর বউ,পরিচিত আপু ম্যাডামদের সাথে এভাবেই কথা বলে। আপাতদৃষ্টিতে এগুলো "জাস্ট প্রশংসাবাক্য"।
এর গভীরে যে কত বড় লাম্পট্য, আর অসৎ কামনা লুকিয়ে আছে, খেয়াল না করলে বুঝার উপায় নেই। যারা এগুলো করে, এরা কিন্তু ফাঁদে ফেলবার জন্যেই করে! এদের স্বভাবই হলো ফ্লার্ট করে নিজের বশে আনা!
খুব স্মার্ট সুদর্শন পুরুষ দেখলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহিলারাও এরকম ফ্লার্ট করে। সে সংখ্যাটাও কম না!!
যে মহিলা জীবনে কোনোদিন স্বামীর বিকল্প স্বপ্নেও কল্পনাও করেন নি। মাঝে মাঝে ঝগড়া হয়, কিন্তুু স্বামীকে অনেক ভালোবাসেন।
পর পুরুষের মুখে নিজের এত্ত সুন্দর প্রশংসা শুনে, "আমি হলে পায়ের কাছে পড়ে থাকতাম" কথাটা শুনে সেই মহিলাও ভাবেন, এই স্বামী আমাকে বঞ্চিত করছে, নিশ্চয়ই আমি আরও ভালো কিছু আশা করি!
যে মহিলা একটা সুখের সংসারে আছেন, বাচ্চা নিয়ে স্বামী স্ত্রী ব্যাস্ততার মাঝে কোনো কিছুর অভাবই বোধ করেন না, সে মহিলাও যখন বাইরের কারো কাছে নিজের কপালের তিলের এত্ত প্রশংসা শুনেন তখন তার মনে হতে পারে, "ওর সাথে এত্তদিন সংসার করলাম, ও তো একটা দিনের জন্যেও এভাবে আমার সৌন্দর্যের প্রশংসা করলো না!"
নিজের বয়সের ব্যাপারে বাইরের পুরুষের প্রশংসা শুনে মহিলা, বারবার আয়নার সামনে নিজের চেহারা দেখেন। ভাবতে থাকেন, হ্যাঁ, আমি তো সুন্দরই। আর ওই পুরুষটাই আমার এ সৌন্দর্যের মূল্যায়ন করলো!
এভাবেই শুরু হয়, পৃথিবীর নিকৃষ্টতম সম্পর্ক।
তথা কথিত একটা "ইনোসেন্ট প্রশংসা"ই ধ্বংস করে দিতে পারে একটা মানুষকে, একটা পরিবারকে!
এটা ভাবার কোনো কারণ নাই যে, যারা "ভাবী" টার প্রশংসা করছে, এরা "ফ্রি মাইন্ড" এ ইনোসেন্ট মন নিয়ে করছে! নাহ, এরা অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই কুমতলব নিয়েই প্রশংসা করে!!
যদি জীবনে সুখী হতে চান, কারো হালকা প্রশংসায় গলে যাবেন না। বরং এদের এড়িয়ে চলুন। প্রশংসা শুনতে সবারই ভাল্লাগে। এভোয়েড না করলে, ধীরে ধীরে এদের ফাঁদে একদিন পড়বেনই।

নবীজি কেন এবং কি কারনে একাধিক বিয়ে করলেন?




★রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -উনার একাধিক বিবাহ পর্যালোচনা
( ﻣﻼﺣﻈﺔ ﻋﻠﻰ ﺗﻌﺪﺩ ﺍﻟﺰﻭﺟﺎﺕ ﻟﻠﻨﺒﻰ ﺻــ )★
জানা আবশ্যক যে, ২৫ বছরের টগবগে যৌবনে আল্লাহর
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহ করেন পরপর দুই স্বামী হারা বিধবা
ও কয়েকটি সন্তানের মা ৪০ বছরের একজন প্রৌঢ়া
মহিলাকে। এই স্ত্রীর মৃত্যুকাল অবধি দীর্ঘ ২৫ বছর
তিনি তাকে নিয়েই সংসার করেছেন। অতঃপর ৬৫ বছর
বয়স্কা বৃদ্ধা স্ত্রী খাদীজার মৃত্যু হ'লে তিনি নিজের
৫০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করলেন আর এক ৫০ বছর
বয়সী কয়েকটি সন্তানের মা একজন বিধবা মহিলা
সাওদাকে নিতান্তই সাংসারিক প্রয়োজনে। এরপর
মক্কা হ'তে হিজরত করে তিনি মদীনায় চলে যান।
যেখানে শুরু হয় ইসলামী সমাজ গঠনের জীবন-মরণ
পরীক্ষা। ফলে মাদানী জীবনের দশ বছরে বিভিন্ন
বাস্তব কারণে ও ইসলামের বিধানসমূহ বাস্তবায়নের
মহতী উদ্দেশ্যে আল্লাহর হুকুমে তাঁকে আরও কয়েকটি
বিবাহ করতে হয়। উল্লেখ্য যে, চারটির অধিক স্ত্রী
একত্রে রাখার অনুমতি আল্লাহপাক স্রেফ তাঁর
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দিয়েছিলেন। অন্য কোন মুসলিমের জন্য নয়
(আহযাব ৩৩/৫০)।
আরও উল্লেখ্য যে, আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই
নিজের সম্পর্কে বলেছিলেন যে, ﻣَﺎ ﻟِﻰ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ﻣِﻦْ ﺣَﺎﺟَﺔٍ
'আমার জন্য মহিলার কোন প্রয়োজন নেই' (বুখারী
হা/৫০২৯)। প্রশ্ন হ'ল, তাহ'লে কেন তিনি এতগুলো বিয়ে
করলেন? এর জওয়াবে আমরা নিম্নোক্ত বিষয়গুলি পেশ
করব।-
(১) শত্রু দমনের স্বার্থে ( ﻟﺪﻓﻊ ﺍﻷﻋﺪﺍﺀ ) : গোঁড়া ও
কুসংস্কারাচ্ছন্ন আরবীয় সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন
রীতির মধ্যে একটি রীতি ছিল এই যে, তারা জামাতা
সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিত। জামাতার সঙ্গে যুদ্ধ করা
কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারটি ছিল তাদের
নিকটে দারুণ লজ্জা ও অসম্মানের ব্যাপার। তাই
আল্লাহ পাক স্বীয় নবীকে একাধিক বিবাহের অনুমতি
দেন বর্বর বিরুদ্ধবাদী শক্তিকে ইসলামের সহায়ক
শক্তিতে পরিণত করার কৌশল হিসাবে। যা দারুণ
কার্যকর প্রমাণিত হয়। উদাহরণ স্বরূপ।-
(ক) ৪র্থ হিজরীতে উম্মে সালামাহকে বিবাহ করার পর
তাঁর গোত্র বনু মাখযূমের স্বনামধন্য বীর খালেদ বিন
অলীদের যে দুর্ধর্ষ ভূমিকা ওহোদ যুদ্ধে দেখা
গিয়েছিল, তা পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং ৭ম হিজরীর
শুরুতে তিনি মদীনায় এসে ইসলাম কবুল করেন।
(খ) ৫ম হিজরীতে জুওয়াইরিয়া বিনতুল হারেছকে বিবাহ
করার ফলে বনু মুছত্বালিক্ব গোত্রের যুদ্ধবন্দী একশত
জন ব্যক্তি সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান হয়ে যান এবং চরম
বিরুদ্ধবাদী এই গোত্রটি মিত্রশক্তিতে পরিণত হয়।
জুওয়াইরিয়া (রাঃ) তার কওমের জন্য বড় 'বরকত মন্ডিত
মহিলা' ( ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺃَﻋْﻈَﻢَ ﺑَﺮَﻛَﺔً ) হিসাবে বরিত হন এবং তাঁর
গোত্র রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর শ্বশুর গোত্র ( ﺃَﺻْﻬَﺎﺭُ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ )
হিসাবে সম্মানজনক পরিচিতি লাভ করে' (আবুদাঊদ
হা/৩৯৩১)।
(গ) ৭ম হিজরীর মুহাররম মাসে উম্মে হাবীবাহকে বিবাহ
করার পর তাঁর পিতা কুরায়েশ নেতা আবু সুফিয়ান আর
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেন না। বরং ৮ম
হিজরীর রামাযান মাসে মক্কা বিজয়ের পূর্বরাতে
তিনি ইসলাম কবুল করেন।
(ঘ) ৭ম হিজরীর ছফর মাসে ছাফিয়াকে বিবাহ করার
ফলে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর বিরুদ্ধে ইহূদীদের যুদ্ধ তৎপরতা
বন্ধ হয়ে যায়। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সন্ধি করে তারা
খায়বরে বসবাস করতে থাকে।
(ঙ) ৭ম হিজরীর যুলক্বা'দাহ মাসে সর্বশেষ মায়মূনা
বিনতুল হারেছকে বিবাহ করার ফলে নাজদবাসীদের
অব্যাহত শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া
যায়। কেননা মায়মূনার এক বোন ছিলেন নাজদের
সর্দারের স্ত্রী। এরপর থেকে উক্ত এলাকায় ইসলামের
প্রচার ও প্রসার বাধাহীনভাবে চলতে থাকে। অথচ
ইতিপূর্বে এরাই ৪র্থ হিজরীতে ৭০ জন ছাহাবীকে
দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা
করেছিল। যা 'বি'রে মা'ঊনার ঘটনা' নামে প্রসিদ্ধ।
২য় কারণ : ইসলামী বন্ধন দৃঢ়করণ ( ﺗﻘﻮﻳﺔ ﺻﻠﺔ ﺍﻹﺳﻼﻡ ) :
আয়েশা ও হাফছাকে বিবাহ করার মাধ্যমে হযরত
আবুবকর ও ওমরের সঙ্গে ইসলামী ভ্রাতৃত্ব দৃঢ়তর ভিত্তি
লাভ করে। ওছমান ও আলীকে জামাতা করার পিছনেও
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুরূপ উদ্দেশ্য থাকাটা অস্বাভাবিক
নয়। এর ফলে ইসলাম জগত চারজন মহান খলীফা লাভে
ধন্য হয়।
৩য় কারণ : কুপ্রথা দূরীকরণ ( ﺇﺯﺍﻟﺔ ﺍﻟﺮﺳﻢ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻰ ) :
পোষ্যপুত্র নিজের পুত্রের ন্যায় এবং তার স্ত্রী
নিজের পুত্রবধুর ন্যায় হারাম- এ মর্মে যুগ যুগ ধরে চলে
আসা সামাজিক কুপ্রথার অপনোদনের জন্য আল্লাহর
হুকুমে তিনি স্বীয় পালিত পুত্র যায়েদ বিন হারেছাহর
তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী যয়নব বিনতে জাহশকে বিবাহ
করেন। এ বিষয়ে সূরা আহযাবের ৩৭ ও ৪০ আয়াত দু'টি
নাযিল হয়। বস্ত্ততঃ এ বিষয়গুলি এমন ছিল যে, এসব
কুপ্রথা ভাঙার জন্য কেবল উপদেশই যথেষ্ট ছিল না।
তাই আল্লাহর হুকুমে স্বয়ং নবীকেই সাহসী পদক্ষেপে
এগিয়ে আসতে হয়েছিল।
৪র্থ কারণ : মহিলা সমাজে ইসলামের বিস্তার ( ﺍﻧﺘﺸﺎﺭ
ﺍﻹﺳﻼﻡ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ ) :
শিক্ষা-দীক্ষাহীন জাহেলী সমাজে মহিলারা ছিল
পুরুষের তুলনায় আরো পশ্চাদপদ। তাই তাদের মধ্যে
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা যোরদার করার জন্য মহিলা
প্রশিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা ছিল সর্বাধিক। পর্দা ফরয
হওয়ার পর এর প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। ফলে
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীগণ তাঁর সহযোগী হিসাবে
একাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অধিক
স্ত্রী অর্থই ছিল অধিক প্রশিক্ষিকা। কেবল মহিলারাই
নন, পুরুষ ছাহাবীগণও বহু বিষয়ে পর্দার আড়াল থেকে
তাঁদের নিকট হ'তে হাদীছ জেনে নিতেন। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -
এর মৃত্যুর পরেও মা আয়েশা, হাফছাহ, উম্মে সালামাহ
প্রমুখের ভূমিকা ছিল এ ব্যাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই যে, একাধিক বিবাহ
ব্যবস্থাকে যারা কটাক্ষ করতে চান, তাদের জানা
উচিত যে, ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য সবার প্রতি
সমান ব্যবহারের শর্তে সর্বোচ্চ চার জন স্ত্রী রাখার
অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু বাধ্য করেনি। পক্ষান্তরে
আধুনিক সভ্যতার দাবীদার পাশ্চাত্যের ফ্রি ষ্টাইল
যৌন জীবনে অভ্যস্ত হতাশাগ্রস্ত সমাজ জীবনের
গভীরে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে যে, সেখানে
অশান্তির আগুন আর মনুষ্যত্বের খোলস ব্যতীত কিছুই
নেই। অথচ প্রকৃত মুসলিমের পারিবারিক জীবন
পরকালীন কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে পারস্পরিক
সহানুভূতি ও নিষ্কাম ভালোবাসায় আপ্লুত থাকে।
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পারিবারিক জীবন যার বাস্তব
দৃষ্টান্ত।
___________________________________________

নামাজি বউ- বেনামাজি স্বামী! চমৎকার ঘটনা - পড়ুন, জীবন পাল্টে যাবে...


নামাজি বউ- বেনামাজি স্বামী! চমৎকার ঘটনা...

সুদর্শন ধার্মীক মেয়ে আশা। নিয়মিত
নামাজ-কালাম আর ইসলামিক ভাবে
জীবন-যাপন করে। এজন্য-ই 'হৃদয়ের বাবা
'আশার সাথে হৃদয়ের বিয়ে দেয়ার
সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ 'হৃদয় ছিলো
আধুনিক মন মানুষিকতার, নামাজ-
কালাম কিছুই পড়ত না, সারাক্ষন
বন্ধুদের সাথে বাজে আড্ডা দিতো,
এবং বিভিন্ন নেশায় যুক্ত হয়ে
পরেছিল।
.
হৃদয়ের বাবা তাকে অনেক বুঝিয়েছে
"এসব ভালো না, এসব খারাপ, ইত্যাদি
ইত্যাদি। তবুও কোন কাজ হয়নি! হৃদয়ের
কোন পরিবর্তন হয়নি।
.
একটা সময় হৃদয়ের বাবা ভাবলো
"ধার্মিক মেয়ের সাথে তার বিয়ে
দিবে। 'ধার্মিক মেয়ের সাথে বিয়ে
দিলে 'হয়তো হৃদয়ের পরিবর্তন ঘটবে।
তারপর হৃদয়ের বাবা তার বন্ধুর মেয়ে
'আশার সাথে বিয়ে ঠিক করল। এবং হৃদয়
ও বিয়েতে রাজি হয়ে গেলো, কারণ
আশা দেখতে খুব সুন্দর ছিলো।
.
অত:পর তাদের বিয়ে হলো। কিন্তু
আফসোস 'বিয়ের এক বছর হয়ে যাওয়ার
পরও! 'হৃদয়ের কোন পরিবর্তন হলো না।
তবে হৃদয় 'আশাকে খুব ভালবাসতো,
আশার সবকথা শুনতো। কিন্তু নামাজ-
কালাম কিছুই ঠিকমতো আদায় করতো
না, সারাক্ষণ বন্ধুদের সাথে বাজে
আড্ডায় মেতে থাকতো।
.
.
একদিন রাতে 'হৃদয় শোফাতে বসে 'আপন
মনে একটার পর একটা সিগারেট
খাচ্ছিল!। "হৃদয়ের এমন 'সিগারেট
খাওয়া দেখে! আশার চোখে অশ্রু চলে
আসে।
.
আশার চোখে অশ্রু দেখে হৃদয় বলল..
- কি হলো!! তুমি কান্না করছো কেন?
.
আশা চোখের জল মুছে বলল!
- তোমার কাছে আমার একটা জিনিস
চাওয়ার আছে?
- একটা চাওয়া কেন!! তোমার হাজারো
চাওয়া পূর্ণ করতে রাজি আমি। বলো
কি চাও তুমি?
- তোমার মূল্যবান সময়ের 'একমাস' চাই!
- মানে?
- মানে, 'একমাস' তুমি শুধু আমার কথা
মতো চলবে। আমি যেটা বলবো 'সেটাই
করবে।
- হা হা, এটা আবার কোন চাওয়া
নাকি?
- হ্যা! এটাই আমার চাওয়া। বলো তুমি
রাজি?
- আচ্ছা বাবা আচ্ছা, আমি রাজি, এখন
একটু হাসো!!
হটাৎ তখনি এশার আযার এর আওয়াজ
শুনা গেলো। তারপর আশা 'হৃদয়কে ওযু
করতে বলল, এবং রুম থেকে 'পান্জাবি
নিয়ে এসে! হৃদয়কে পান্জাবিটা পড়তে
বলল, আর "মসজিদে গিয়ে নামায আদায়
করে আসতে বলল।
.
কিন্তু হৃদয় মসজিদে না গিয়ে! বন্ধুদের
আড্ডায় চলে গেলো। তারপর জামায়াত
শেষ হলে 'বাসায় ফিরে এলো।
.
হৃদয় প্রতিদিন'ই এমন করতো.. "বাসা
থেকে নামাজের উদ্দশ্যে বেড় হতো!
তারপর মসজিদে না গিয়ে, রাস্তায়
রাস্তায় আড্ডা দিতো। এবং
'জামায়াত শেষ হলে 'বাসায় ফিরতো,
আর বলতো 'নামাজ পড়েছি।
.
এভাবে ৭/৮দিন চলার পর! হৃদয় ভাবলো
"এভাবে আর মিথ্যা বলা সম্ভব না।
পাঞ্জাবি-টুপি গায়ে দিয়ে চোরের
মতো রাস্তায় থাকাটা কষ্টকর,
তারচেয়ে ভাল মসজিদে গিয়ে নামাজ
আদায় করি। 'মাত্র একটা মাস-ইই তো!
তারপর নামাজ না পড়লেও আশা কিছু
বলবে না।।

এইকথা ভেবে হৃদয় মসজিদে প্রবেশ
করলো। এবং নামাজ আদায় করে বাসায়
ফিরল। তারপর থেকে 'হৃদয় প্রতিদিন '৫
ওয়াক্ত নামাজ পড়ত, এন্ড মনে মনে
ভাবতো 'একমাস পর আর নামাজ পড়তে
হবে না।
.
.
হৃদয় এখন সিগারেট খায়না। কারণ আশা
বারণ করেছে, একমাস সিগারেট না
খেতে। যদিওবা "হৃদয় প্রথমে ভাবেছিল
'একটা মাস-ই তো। ঘরের মধ্যে
সিগারেট না খেয়ে বাহিরে খাব।
আশা দেখবে না। কিন্তু সেটাও আর
বেশি দিন হলো না। কয়েকদিন পর
নিজেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে
দিলো। আর নিয়মিত নামাজও পড়তে
লাগলো।
.
.
আজ ৩০ দিন পূর্ণ হলো।
হৃদয় এখন আর 'আগের মতো নেই। এই
একমাসে অনেক পরিবর্তন সে। আগে
টেনশন হলে 'সিগারেট খেতো!! আর
"এখন টেনশন হলে 'নামাজে দাঁড়িয়ে
যায়। নয়তো তাসবীহ পাঠ করে করে
'টেনশন দূর করে।
.
ফজরের আজান দেয়ার সাথে সাথে ঘুম
ভেংগে যায় হৃদয়ের, এখন এটা অভ্যাস
হয়ে গিয়েছে তার। অভ্যাস বড়ই ভয়ানক
জিনিস। একবার কোনকিছুর অভ্যাস হয়ে
গেলে! সে অভ্যাস ত্যাগ করা বড়ই
কঠিন।
.
অত:পর হৃদয় বিছানা থেকে উঠে,
প্রতিদিনের মত মসজিদে চলে গেলো।
আশা শুয়ে শুয়ে সব-ইই দেখছিল। হৃদয়ের
এমন পরিবর্তন দেখে, "আল্লাহর কাছে
শুকরিয়া আদায় করল।
.
.
হৃদয় নামাজ পড়ে এসে বললো।
- আশা! আজতো ৩০দিন হয়েছে, তোমার
চাওয়া আমি পূরণ করছি। এখন আমার
চাওয়া আছে তোমার কাছে!!
- কি চাওয়া?
- তুমি 'বলেছিলে না! 'একমাস তোমার
কথা মতো চলতে! "আজ আমি
সারাজীবন তোমার কথামতো চলতে
চাই। আল্লাহ আমাকে যতদিন হায়াত
দিয়েছে ততটা দিন-ই 'আমি তোমার
কথামতো চলতে চাই। আর এটাই আমার
চাওয়া। তুমি আমার চাওয়া রাখবে?
হৃদয়ের এমন কথা শুনে 'আশার চোখে
অশ্রু চলে এলো। তবে এই অশ্রু- সেই অশ্রু
না। এই অশ্রু- দু:খের অশ্রু না।
এই অশ্রু "মনের ইচ্ছা পূর্ণ হওয়া" অশ্রু।
এই অশ্রু সুখের অশ্রু।
.
.
# বিদ্রোঃ "একটা সৎ, ভদ্র, উত্তম চরিত্র
ও নামাজি বউ পাওয়া! একটা ছেলের
জন্য আল্লাহর অশেষ রহমত। একমাএ
ভাগ্যেবানদের নসিবেই জুটে এমন বউ।
.
.
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলামিক
জীবন-যাপন করার তৌফিক দান করুক,
আমিন।

সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>> https://ourbd24.com/hsc-result/ সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>...