Showing posts with label Save. Show all posts
Showing posts with label Save. Show all posts

এক নজরে সকল পরীক্ষার রেজাল্ট জানার সহজ উপায়

জে এস সি / জেডিসি / এস এস সি / দাখিল / এইচ এস সি / আলিম সহ সমমান সকল পরীকাক্ষার রেজাল্ট খুব সহজেই মার্কশিট সহকারে জানতে "এখানে ক্লিক করুন" এবং মার্কশিট সহকারে প্রত্যেক বিষয়ে আলাদা আলাদা কত নাম্বার এবং এমসিকিউ তে কোন বিষয়ে কত নাম্বার করে পেলেন তা সম্পূর্ন বিস্তারিত সহকারে জানতে "এখানে ক্লিক করুন"



এছাড়া....
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ' ফাজিল / কামিল / অনার্স / মাস্টার্সের রেজাল্ট জানতে এখানে ক্লিক করুন

কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ' ফাজিল / কামিল / অনার্স / মাস্টার্সের রেজাল্ট জানতে এখানে ক্লিক করুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী / এম এ / অনার্স / মাস্টার্স সহ অনান্য সকল পরীক্ষার রেজাল্ট জানতে এখানে ক্লিক করুন


এবং বাংলাদেশের অনান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজল্ট জানতে নিচের লিষ্ট থেকে সিলেক্ট করুন.....
ঢাকা ইউনিভার্সিটির রেজাল্ট জানতে এখানে ক্লিক করুন...................................................................................................................................................................................................

কিয়ামতের দিনের অবস্থা | কেয়ামতের অালোচনা পর্ব - ০১

"কিয়ামত দিবস সম্পর্কিত ধারাবাহিক আলোচনার প্রথম পর্ব"

" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম "
কিয়ামতের দিবসের অবস্থা, কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থা, কেয়ামতের অালোচনা, কি হবে কিয়ামতের দিনে, কিয়ামতের দিন মানুষ যেভাবে উঠবে, কিয়ামতের দিন মানুষের যা হবে
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের জন্য, আমরা উনারই গুনকীর্তন করিতেছি এবং উনারই কাছে সাহায্য চাহিতেছি এবং একমাত্র উনারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। এবং আমরা আমাদের প্রবৃত্তির কুচক্র হইতে বাচিবার জন্য আল্লাহ রব্বুল আলামীনের দরবারে সাহায্য ভিক্ষা করিতেছি। আল্লাহ রব্বুল আলামীন যাকে দয়া করে হেদায়েত করেন তাহাকে কেহই পথভ্রষ্ট গোমরাহ করিতে পারে না, পক্ষান্তরে বান্দা নিজ ইচ্ছায় গোমরাহ হইবার জন্য দৃঢ় হইবার পর (নিজ ইচ্ছায় কু-পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রতিঙ্গা করে ফেলার পর যখন সে পথে নিজেকে পরিচালিত করতে থাকে) আল্লাহ রব্বুল আলামীন যদি তাহার জন্য গোমরাহী নির্ধারণ করেন তবে তাহাকে আর কেহই হেদায়েত করিতে পারে না। এ সম্পর্কে আল্লাহ রব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেন.... " অতএব আল্লাহ রব্বুল আলামীন যাকে সৎপথ দেখাতে চান, তিনি তার বক্ষদেশকে (হৃদয় কে)  ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন আর যাকে বিপথগামী করতে চান তার বক্ষদেশকে অতিশয় সংকীর্ণ করে দেন। এমনভাবে সংকীর্ণ করেন যে, যেন সে আকাশে আহরণ করছে। এমনিভাবেই যারা ঈমান আনয়ণ করে না, আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাদের ওপর দুনিয়ার অকল্যান আর পরকালের শাস্তা চাপিয়ে দেন'..... সূরা আল আন'আম - আয়াত নং ১২৫ "
সুতারং আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন ছাড়া আমাদের আর কোন ইলাহ নেই এবং হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ রব্বুল আলামীনের প্রেরিত বান্দা সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ নবী ও রসূল। আল্লাহ তায়ালা উনাকে দয়া এবং মায়া করে কিয়ামতের পূর্বে সত্য (ইসলাম) সহকারে সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শক করিয়া পাঠাইয়াছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ রব্বুল আলামীন এবং হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুগত করিল সে জ্ঞানীর কাজ করিল, আর যে ব্যক্তি অনুগত করিল না' নাফরমানী করিল সে বোকামী করিল তথা নিজের জন্য ধ্বংস ডাকিয়া আনিল।
হে আল্লাহর বান্দাগন এবং নবীজির উম্মতগন! আল্লাহ আপনাদের কে ভাগ্যবান করুন। আজ আপনারা দুনিয়ার সুখ-শান্তিতে আছেন আবার আগামীকল্য কিয়ামতের দিকে যাত্রা করিবেন। কিয়ামতের জন্য নেক আমল সংগ্রহ করিয়া লউন, কেননা ঐ দিনের ধন-দৌলত, পুত্র পরিজন কোন উপকারে আসিবেনা। ✪ নূর নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন ' কেয়ামতে সূর্য মানুষের মাথার মাত্র এক সূরমা-শলাই অর্থাৎ ৩ ইঞ্চি পরিমান উপরে রাখা হইবে, তখন মানুষ নিজ নিজ কর্মানুসারে ঘর্মের (শরীরের ঘাম) মধ্যে অবস্থান করিবে, কাহারও পায়ের গাইট পর্যন্ত, কাহারও হাঁটু পর্যন্ত, কাহারও কটিদেশ পর্যন্ত, আর কাহারও মুখের চোয়াল পর্যন্ত ঘামের মধ্যে ডুবিয়া যাইবে।(মুসলিম)
✪ নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন যে' কেয়ামতে মানুষকে নগ্নপদ ও খৎনা বিহীন  অবস্থায় উঠান হইবে। আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, - আমি বলিলাম -- ইয়া রসূলাল্লাহ ! নর নারী সকলকেই কি এই অবস্থায় উঠান হইবে? তখন তারা কি একে অপরের দিকে তাকাইবেনা? নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর করিলেন _ হে আয়েশা! মানুষ তখন নিজ নিজ চিন্তায় এমনভাবে মগ্ন থাকিবে, যে একে অপরের দিকে তাকাইবার সময় পাইবে না।(বুখারী শরীফ)
✪ হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ' সেই দিন জাহান্নামকে টানিয়া কিয়ামতের ময়দানে আনয়ন করা হইবে - জাহান্নামের ৭০ হাজার শিকল থাকিবে, তাহার প্রত্যেক শিকলে ৭০ হাজার করিয়া ফেরেশতা থাকিয়া উহা টানিয়া আনিবে। (মুসলিম শরীফ)
✪ আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাঃ) একদিন দোযখের কথা স্বরন করিয়া কাঁদিয়া উঠিলে '  নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জিজ্ঞাসা করিলেন, " তুমি কাঁদিতেছ কেন?" আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাঃ) উত্তর করিলেন -- দোযখের কথা স্বরন করিয়া কাঁদিতেছি। আপনারা কি আপনাদের পরিবারবর্গের কথা কেয়ামতের দিন স্বরন রাখিবেন? নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জবাব দিলেন -- তিনটি স্থানে কেহ কাহারও কথা স্বরন রাখিবে না। * তুলাদন্ডের নিকট, সেখানে প্রত্যেকেই নিজের নেকের ওজন বেশী হয় না কম হয় সেই দিকেই খেয়াল করিয়া থাকিবে। * আর যখন আমলনামা দিয়া বলা হইবে যে, ওহে! তোমার আমলনামা  পাঠ কর। তখন প্রত্যেকেই চিন্তায় থাকিবে যে, তাহার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে না কি পিছন হইতে বাম হাতে দেয়া হবে, * আর পুলছিরাতের নিকটে -- যখন উহা জাহান্নামেের দুই পার্শ্বের উপরে বসান হইবে। (আবু দাউদ শরীফ)

✪ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে সূরা বনী ইসর'ঈলে ইরশাদ করেন.....


( ১৩ ) প্রত্যেক মানুষের ভালমন্দ কাজের নিদর্শন আমি তার গলায় ঝুলিয়ে রেখেছি এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য বের করবো একটি লিখন, যাকে সে খোলা কিতাবের আকারে পাবে৷


( ১৪ ) পড়ো, নিজের আমলনামা, আজ নিজের হিসেব করার জন্য তুমি নিজেই যথেষ্ট৷


( ১৫ ) যে ব্যক্তিই সৎপথ অবলম্বন করে, তার সৎপথ অবলম্বন তার নিজের জন্যই কল্যাণকর হয়৷ আর যে ব্যক্তি পথভ্রষ্ট হয়, তার পথভ্রষ্টতার ধ্বংসকারিতা তার ওপরই বর্তায়৷ কোনো বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না৷ আর আমি (হক ও বাতিলের পার্থক্য বুঝাবার জন্য) একজন পয়গম্বর না পাঠিয়ে দেয়া পর্যন্ত কাউকে আযাব দেই না৷


✪ মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে সূরা ত্ব-হা শরীফে ইরশাদ করেন.....


( ১২৪ ) এবং যে ব্যক্তি আমার জিকির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাহার জন্য কষ্টময় জীবন নির্ধারিত হইয়াছে। এবং আমি তাহাকে কেয়ামতের দিবসে অন্ধ করিয়া উঠাইব।


( ১২৫ ) সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ করিয়া উঠাইলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম।


( ১২৬ ) আল্লাহ বলবেনঃ এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অতঃপর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভোলা হইয়াছে।


( ১২৭ ) এমনিভাবে আমি তাকে প্রতিফল দেব, যে সীমালঙ্ঘন করে এবং পালনকর্তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করে। তার পরকালের শাস্তি কঠোরতর এবং অনেক স্থায়ী।


হে আল্লাহ রব্বুল আলামীন! আপনি আমাদিগকে কিয়ামতের বিপদে আপদে সাহায্য করুন এবং আমাদের জন্য হুযুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত লিখিয়া দিন - তিনিই শাফায়াতকারী। আল্লাহুম্মা আমীন।



================================================================================================================================================




"Bismillahir Rahmanir Rahim"
All praise is due to Allah Almighty, we sing praises to him and seek help from him and we are praying only for him. And we are praying for help in the court of Allah Almighty to save us from the evil of our desires. No one can mislead whom Allah Almighty guides, and on the contrary, when the person becomes determined to go astray after his own intention (after being defeated by his own intention, to keep himself guided by the way), Allah Almighty If someone sets a mistake for him, then no one can guide him. In this regard, Allah Almighty says in the Holy Qur'an ... "Therefore, whom Allah Almighty wants to show, he enlarges his chest (heart) for Islam, and makes the chest of the person who wants to stray into it very narrow, in such a way narrow It is as if he is getting into the sky, and so is the one who does not believe, Allah Almighty, the punishment of the world and the punishment of the Hereafter. Lays' ..... Surah Al-Anaam - Ayat No. 125 "

ফিতরা কখন কাকে দিতে হয়? ফিতরার পরিমাণ ও কি জিনিষ দিয়ে আদায় করতে হয়?

"ফিতরা বা সাদাকাতুল ফিতর সম্পর্কিত আলোচনার প্রথম পর্ব"

" বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম "

ভূমিকা ⠅ পবিত্র দ্বীন ইসলামের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ হল ফিতরা বা সাদাকাতুল ফিতর। আল্লাহ রব্বুল আলামীন এবং হুযুর পূর নুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে প্রত্যেক স্বাধীন মুসলমান নর নারীর তথা নির্বিশেষে সকল মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়ার শর্তে " ফিৎরা বা সাদাকায়ে ফেতর ওয়াজিব করা হয়েছে।


ফিতরা / ফেৎরা / সাদাকাতুল ফিতর এর পারিভাষিক অর্থ ⠅ পবিত্র রমাদ্ব'নুল মুবারক (রমযান) মাস শেষ হওয়ার পরে ঈদুল ফিতরের দিন 'পবিত্র কুরআন শরীফ এবং হাদীস শরীফ মোতাবেক যে নির্দিষ্ট পরিমান সম্পদ শর্ত সহকারে দান করা হয় তাকে সাদাকাতুল ফিতর বলে। মোট কথা ঈদের দিন সুবহে সাদিকের সময় হাদীস মোতাবেক নির্দিষ্ট পরিমান সম্পদের মালিক হওয়ার কারনে যে সদকা করতে হয় তাকেই সদাকতুল ফিতর বলে।
[বিভিন্ন স্থানের দেশীয় প্রচলিত ভাষা অনুযায়ী "ফিতরা / ফিৎরা / ফেতরা / ফেৎরা / সাদাকায়ে ফেতর / ছাদাকায়ে ফিতর / ছাদাকাতুল ফিতর / সাদাকাতুল ফিতর" দ্বারা একই জিনিষ কে বুঝানো হয়ে থাকে]

ফিৎরা / ফেতরা / সাদাকায়ে ফেতর এর হুকুম ⠅ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীস শরীফ মোতাবেক ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় নির্দিষ্ট পরিমান ধন সম্পদ টাকা পয়সা সোনা রূপা ইত্যাদির মালিক হওয়ার শর্তে বালেগ / নাবালেগ সহ নির্বিশেষে সকল মুসলমান নর ও নারীগনের উপর সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব করা হয়েছে।
*ইমাম আবু হানীফা (র) এর মতে , সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।
* আল্লামা তিবী (র) এর মতে , সাদাকাতুল ফিতর ফরয।
*ইমাম শাফেয়ী (র) এর মতে , সাদাকাতুল ফিতর ফরয।

সাদাকাতুল ফিতর কার উপর ওয়াজিব ⠅ ইসলামী শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী প্রত্যেক স্বাধীন নাবালেগ / বালেগ পুরুষ / মহিলা নির্বিশেষে শর্ত সাপেক্ষে সকল মুসলমানের উপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব। তবে শর্ত এই যে ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। ওয়াজিব না হওয়া সত্বেও আপন খেয়াল খুশি থেকে ফিতরা আদায় করলে তা মুস্তাহাব হিসেবে গণ্য হবে এবং অনেক বেশী সওয়াব হবে। কারন, হাদীস শরীফে এসেছে 'গরীব হওয়া সত্বেও কষ্ট করিয়া যে আল্লাহর রাস্তায় সদকা দেয় , তাহার দান কে আল্লাহ রব্বুল আলামীন অনেক পছন্দ করেন।

যে পরিমাণ সম্পদ থাকিলে সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয় ⠅ ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় যে ব্যক্তি হাওয়ায়েজে আছলিয়া অর্থাৎ, জীবিকা নির্বাহের অত্যাবশ্যকীয় উপকরন "যেমনঃ পোশাক পরিচ্ছেদ, বাসস্থান, খাদ্য দ্রব্য,  যে জিনিসের নির্ভর করে সংসার চলে তা ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা স্বর্ন বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপা অথবা সমমূল্যের অন্য কোন সম্পদ, টাকা পয়সা থাকিবে তাহার উপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হইবে। সেই মাল সম্পদ ব্যবসার জন্য হউক বা না হউক, বা সেই সম্পদের বয়স পূর্ন এক বছর হউক বা না হউক। [জীবিকা নির্বাহের আবশ্যকীয় উপকরনসমূহকে "হাওয়াজে আছলিয়া" বলে। ///// ২০০ দেরহাম পরিমাণ সম্পত্তির অধিকারীকে মালেকে নেছাব বলে, আমাদের দেশীয় হিসাব অনুযায়ী ২০০ দেরহামে সাড়ে ৫২ তোলা রূপ হয়।]

যাদের পক্ষ থেকে আপনাকে সাদাকাতুল ফিতর / ফেৎরা আদায় করতে হবে ⠅ ইসলামী শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরীমান সম্পদের মালিক হওয়ার শর্তে যার উপর ফিতরা ওয়াজিব হয়েছে 'তিনি নিজের পক্ষ থেকে, তার নাবালেগ ছেলে মেয়ের পক্ষ থেকে, ঈদের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে যে সন্তান জম্ম নিয়েছে তার পক্ষ থেকে, আপন ঘরের কাজে নিযুক্ত গোলামের পক্ষ থেকে এবং বাড়িতে কোন অমুসলিম গোলাম থেকে থাকলে তার পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর বা ছদ্ক্বায়ে ফেৎর আদায় করতে হবে।

যাদের পক্ষ থেকে আপনার উপর ফেৎরা / ছদাকতুল ফিৎর আদায় করা ওয়াজিব নয় ⠅ আপন স্ত্রীদের এবং আপন ঔরসজাত প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েদের পক্ষ থেকে সদাকতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব নহে। তবে পুরুষ ব্যক্তি ইচ্ছা করিলে তাহার স্ত্রী, এক পরিবারভুক্ত থাকিলে তাহার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে / মেয়ে, এবং আপন পিতা মাতার পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবে, এটা মুস্তাহাব।
[মেয়েলোকের শুধুমাত্র নিজের ফেতরা দেয়া ওয়াজিব। স্বামী, সন্তান, বাবা, মা এবং অন্য কাহারো পক্ষ থেকে ফিৎরা আদায় করা ওয়াজিব নহে।]

সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা কাকে দিতে হবে ⠅ আপন আত্মীয় - স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী বা দূরবর্তী লোকদের মধ্যে যাহারা ফকির , মিসকিন , গরীব - দুঃখী আছে তাহাদেরকে দিতে হবে। আলেম উলমা, ইমাম, মোয়াজ্জিন, যদি গরীব হয় দেয়া যাবে। একজনের ফিতরা একজনকে অথবা কয়েকজনের ফিতরা একজনকে কিংবা একজনের ফিতরা কয়েকজনকে উভয়ই জায়েয। তবে খেয়াল রাখতে হবে কাউকে এত বেশি দেয়া যাবেনা যে, যার ফলে উল্টো গ্রহনকারীর উপরই যেন সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়।

সাদাকাতুল ফিতর কখন দিতে হবে ⠅ ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা মুস্তাহাব। যদি একান্ত আগে নাই দিতে পারে তবে পরে দিলেও হবে। আবার কেহ যদি রমযান মাসেই ফিতরা দিয়ে দেয় তাও জায়েয হবে। যদি যথা সময়ে ফিতরা না দেয় ওয়াজিব হিসেবে তা ঝুলন্ত থাকবে, অবশ্যই তা আদায় করতে হবে, আদায় না করা পর্যন্ত তা মাপ হবেনা।

যাদের কে ফিৎরা দেয়া জায়েয নেই ⠅ নবী বংশ তথা সাইয়্যেদগন কে, "সম্পদশালী লোক এবং তাহাদের নাবালেগ সন্তানদের কে, এবং "নিজের বাবা, মা, দাদা, দাদী, নানা, নানী, নিজের ছেলে মেয়ে, নাতি, নাতনী ইত্যাদিগকে ফিতরা বা যাকাত দেয়া জায়েয নেই। তারা যদি গরীব হয় নিজের সম্পদের থেকে ভাগ / হাদিয়া - তোহফা দিয়ে সহযোগীতা করতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কতৃক নির্ধারিত ২০১৮ - 2018 সালের সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরার পরিমাণ এবং যে সকল জিনিষ দিয়ে ফিতরা দেয়া যাবে ⠅
১/ আটা দিয়ে যদি কেহ ফিতরা আদায় করতে চায় তাহলে " অর্ধ সা বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য হিসেবে ৭০ টাকা জনপ্রতি দিতে হবে।
২/ যব দ্বারা যদি ফিৎরা আদায় করতে চায় তাহলে " এক সা বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার দর হিসেবে জনপ্রতি ৫০০ টকা করে দিতে হবে।
৩/ কিসমিস দিয়ে ফিতরা আদায় করতে চাইলে, এক সা বা ১ কেজি ৩০০ গ্রাম বা তার সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৩২০ টাকা করে জনপ্রতি দিতে হবে।
৪/ খেজুর দ্বারা ফেৎরা আদায় করতে চাইলে জনপ্রতি " এক সা বা ১ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল ১৯৮০ টাকা কর প্রদান করিতে হইবে।
৫/ পনির দিয়ে যদি আপনি ফিতরা আদায় করতে চান তাহলে " এক সা বা ১ কেজি ৩০০ গ্রাম বা তার সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২৩১০ টাকা করে জনপ্রতি আদায় করতে হবে।

বিঃ দ্রঃ - উপরোক্ত পণ্যসমূহের দাম স্থান কাল ভেদে পরিবর্তন হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় দাম অনুযায়ী উপরোক্ত নিয়মে হিসেব করে ফিত্বরা আদায় করলে তা জায়েয হবে।
 ✱ এছাড়া মনে রাখতে হবে, আপনার যদি পনির বা তার সমমূল্য ২৩১০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করার যোগ্যতা থাকে তবে অন্য কিছু দিয়ে ফিতরা আদায় করা উচিৎ হবেনা।
✱ আপনার যদি পনির বা সমমূল্য ২৩১০ টাকা দেয়ার মত সক্ষমতা না থাকে , কিন্তু খেজুর বা সমমূল্য ১৯৮০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায়ের সক্ষমতা থাকে তবে তাই দিয়ে দিবেন। এর চেয়ে কম মূল্য / জিনিষ দিয়ে আদায় করা ঠিক হবেনা।
✱ এভাবে কিসমিস / ১৩২০ টাকা দিতে পারলে তাই দিতে হবে। এর চেয়ে কম মূল্যের জিনিষ দেয়া উচিৎ হবেনা।
✱তেমনি ভাবে জব / ৫০০ টাকা দিতে পারলে তাই দিতে হবে। এর চেয়ে কম মূল্যের জিনিষ দিবেননা।
✱ আর যদি আটা দ্বারা ফিতরা আদায়ের যোগ্যতা থাকে তাই দিবেন, তবে এর চেয়ে দামি জিনিষ / মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতে পারলে অধিক সওয়াব হবে। কারন, হাদীস শরীফে সর্বোত্তম দামি মাল দ্বারা ফিতরা আদায়ের তাগিদ করা হয়েছে।


সাদাকাতুল ফিত সম্পর্কিত হাদীস শরীফ সমূহ ⠅
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা) বলেন , নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সদকায়ে ফিতর খেজুর ও যবের এক সা পরিমানে দাস, স্বাধীন, নারী, পুরুষ, ছোট, বড় সকল মুসলমানের উপর ফরজ করেছেন এবং ঈদগাহে যাবার পূর্বেই সদকায়ে ফিতর আদায়ের নির্দেশ করেছেন।


দলীলঃ
১/ তাহসীনুল কুদুরী।
২/বেহেশতী জেওর


================================================================================================================================================


Introduction ⠅ Sacred Religion is one of the important parts of Islam, Fitra or Sadakat-ul-Fitr. On behalf of Allah Almighty and Huzur the Prophet Nur (peace and blessings of Allaah be upon him), every independent Muslim, on the condition of being the owner of a certain amount of wealth, regardless of women, regardless of women, "Fitra or Sadat-e-Fitr was obliged.




The technical meaning of Fitra / Fitra / Sadakat-ul-Fitr is that after the end of the month of Ramadan Mubarak (Ramadan), the specific amount of wealth that is given in accordance with the holy Qur'an and the hadith according to the tradition of Eid al-Fitr is called Sadakat-ul-Fitr. According to the fact that on the occasion of Eid al-Sadik, as the owner of a certain amount of wealth, according to the hadith, he is the person who has to do the charity, he is also called Sadaktul Fitr.


Taliban release 2335 villagers in Afghanistan



Five days before the Taliban hostage captured 235 villagers who were arrested and detained in Afghanistan's northern Saripal province. Provincial officials said this on Wednesday. Provincial governor's spokesman Jabi Amani said after the talks with the senior members of the tribals, the Taliban released the villagers. However, still unknown number of civilians are believed to be in the custody of the Taliban. Civilians fleeing the Taliban's occupied area are staying in the mosque or their relatives house. The local administration has been providing food and other assistance to them. At the same time, finding permanent solutions to problems is also being discovered, a spokesman said. Amani said, after the Taliban took over control of Sayed district, 52 civilians including men and women were killed in the village of Mirza Awalong. Most of the victims are Shia and minority Hazaras. Although Taliban spokesman Qari Yusuf Ahmadi acknowledged accepting the control of the area, Mirja Walang denied the killing of civilians. The IS has not made any comments about the attack till now or did not say anything about whether the Taliban had joined hands with the opposition. For the last few months, there have been reports of the Taliban war with IS-related groups in different provinces. Most of the IS-supported groups in Afghanistan comprise Dalchut members of the Taliban. After the two days of intense fighting, the Taliban occupied the area of ​​Saripal province on August 5, after the Afghan army was overthrown. However, the spokesman Amani said that the Afghan security forces would launch an operation to revive the area soon. Afghan President Ashraf Gani condemned the killing of Saripal. Meanwhile, gunmen attacked four women activists in Bagram Airfield, US Base Military base in Parwana province on Wednesday. Provincial Police Chief General Zaman Mami said that one killed and another seriously injured. Someone did not accept responsibility for the attack immediately. In June, the Taliban killed six Afghan security guards by attacking the base.
Source: Amar Desh 24

Denied Netanyahu's proposal to hand over the Palestinians inside Israel



Jerusalem: Palestinian leaders and human rights groups condemned Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu's proposal for handing over Arab populist villages under Israeli control to Palestinian Authority. The plan was released for the first time on the news channel of Israel News News. As part of a final agreement with the Palestinian leadership in this new proposal, Israel is allowed to engage Israeli occupation of West Bank occupied West Bank. According to a report published in Israeli daily 'Haritz', an Israeli official told Channel 2, "This issue is part of the proposal to take a coordinated action with Palestinians, not a separate proposal but rather a coordinated action with Palestinians." In Israel's Netset (Parliament) about the compulsory population transfer and the inclusion of settlements ) Member Youssef Jaberen said, 'It is unauthorized according to international law Dhan and will be considered as 'war crimes'. "He told al-Jazeera," The people of Arab descent living in Israel have not received citizenship by anyone's grace, but they are living in their historic homeland. "He said that it is completely opposite to occupying land illegally on the West Bank . These residents are occupying the land of Palestine. "The Haifa-based Arab minority rights organization 'Courtah Legal Center' said about 1.7 million Palestinians are living in Israeli cities and villages and they are carrying Israeli citizenship. Nearly a dozen laws have been deprived of their political rights. At the same time their access to state assets has been restricted. In a statement, the organization said, "This plan is an anti-racial decision, without the permission of such a plan or discussion - especially those who are directly affected by it. This will make their citizenship worse, temporary, risky and bitter of political discourse. '

The fight between Chhatra Dol and Chhatra League in Dhaka University


DU: Chattra League and Chhatra Dal have been involved in the clash. The incident took place around 11pm on Thursday. The news of the chase hit the camp spreading panic. According to sources, the leaders of the BCL and DU activists chased the Chhatra Dal leaders after taking part in a discussion organized by the left organizations of Dhaka University to demand Daksu election. Students of Dhaka University Chhatra Dal president Al-Mehedi Talukdar and General Secretary Bashar Siddiqui chased them with their followers while they went to the campus. . . Details: Students protest by blocking the administrative building in Jatiya RNTNN Savar: Mother filed for university administration against Jahangirnagar University students . . Details DU Senate building in front of the protest with teachers blows DU next Vice-Chancellor to appoint 3 people has chosen the Senate Sylhet MC College hostel unit damaged unit 5 activists Dhabi expelled Sunday Honors 4th year of test results, the know on the pavement watermelon selling GPA-5 in the know SSC The result of the election resulted in the clash: Two BCL leaders ousted The chairman was dismissed in Sylhet for cheating shaw student 10 injured in clashes in Dhaka Board SSC arthi-locals did not question what has been leaked? The President is not obstructed: the President

In Noakhali, gang robbery suspected of 'cows' 4


Four people were killed in a massacre in Noakhali's Subarnachar Upazila. This incident happened in the village of North Kachpia village under Charjubali union on Wednesday midnight on Wednesday. Today, at around noon, the local people arrested and arrested two more suspected suspects from a distance of the area. Police recovered the injured and took them to the police station. Officer-in-Charge of Charbara Police Station, OC of Charbara upazila, confirmed the incident of killing four people in connection with massacre of 'cow slaughter'. Nizam Uddin At around 7:30 in the morning, he said the body of the four dead was recovered. The body was sent to the Noakhali General Hospital morgue for autopsy. The OC said that local people arrested the two people suspected to be from a distance of the area and arrested the suspects. Later, police recovered the injured and took them to the police station. They were treated locally. The names of the casualties are not yet confirmed. According to Nizam Uddin, some people surrounded them from four sides when some people entered the northern Kachpia village of Charzubili with a pickup van around 2:30 in the morning. At the time, when they tried to run away from pickup, local people gave them uproot. Three people were killed on the spot. A local school teacher said that for a few days, cows stolen in various areas of Subarnachar have been increased in view of the Eid-ul-Fitr. Three days before, five cows were stolen from Charjubali and seven cattle from Chirajpur area. Collected thieves came in the dark of night with a pickup van and stole the cow. In view of this, the people in villages have guarded the village. The teacher further said that a pickup van was seen entering the village from Sonapur-Steerghat Road around 2.30pm on Sunday. At that time, the guard guided the others to the incident. They gave barricades by climbing trees on the culvert in front of Jabbar Ali Pandit's shop in North Kachpia village. The pickup van stuck there. It is also known from local sources that when people come from all over, pickup people try to run away. At that time, three of the six people fled. The other three people, agitated by the public, 'suspected of cowboy' Three people died on the spot. Later in the morning, a person who was hiding in a 'dormitory room' in the village, he also died. Later on, some of the more strangers from the area were arrested and suspected of thieving. Later, police rescued them and took them to the police station. Angry people burned that pickup van after vandalism.

‘শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল ” ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায়হাইকোর্টের রায় ২রা এপ্রিল’...ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান!



‘শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল ” ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ২রা এপ্রিল’,,, ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান!
_______________________
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ২রা এপ্রিল দৈনিক মানব জমিনের এমন শিরনামের সমালোচোনা করে ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান তার ফেসুবুকে লিখেছেন শিরোনাম হওয়া উচিত ছিল ” ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ২রা এপ্রিল ‘, বললে পুরাটা বলা উচিত।কমেন্ট বক্সে দেখা যায় অনেক পাঠক তাকে সমর্থন দিয়েছেন। দৈনিক মানব জমিনের মুল খবরটিতে বলা হয়,
গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় ঘোষণা করা হবে আগামী ২রা এপ্রিল। আজ সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। এর আগে এ মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি গত ৯ই জানুয়ারি শেষ হয়। ওই দিন শুনানি শেষে মামলার রায় যেকোন দিন ঘোষণা করা হবে বলে রায় অপেক্ষমান রাখেন আদালত। ২০১৩ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের কালসী এলাকায় নিজ বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা করা হয় রাজীবকে।
গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের রায়ে রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপকে মৃত্যুদ- এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতা মুফতি জসিমউদ্দিন রাহমানীসহ ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়। তবে, মৃত্যুদ- পাওয়া পলাতক রেদোয়ানুল আজাদ রানা আপিল করেনি।
@Rtnbd

আল্লাহর রসূল (স) যখন ঘামতেন তখন উনাআর দেহ মোবারক থেকে মেশক আম্বরের চাইতেও অধিক সুগন্ধ পাওয়া যেত।.... সুবহান আল্লাহ


যমিনের বুকে এমন কোন মানুষ নেই যার ঘর্মাক্ত শরীর থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায় না । কিছু কিছু মানুষ সুগন্ধি ব্যবহার না করলে তাদের আশেপাশেও থাকা যায় না । অথচ আল্লাহর রসূল যখন ঘামতেন তখন তাঁর শরীর দিয়ে মেশক আম্বরের চাইতেও অধিক সুগন্ধ পাওয়া যেত । সুবহান আল্লাহ !
সম্মানিত ও অনুসরণীয় সাহাবাগণ আল্লাহর রসূলকে ঠিকই চিনতে পেরেছিলেন । তাই খলীফাতুল মুসলিমিন, বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম হযরত আলী (রাঃ) বলেন ,
لم ارقبله و لا بعده مثله
অর্থ : আমি নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্বে এবং পরে উনার মত আর কাউকে দেখিনি !" (√ তিরমীযি শরীফ – ২য় খন্ড ২০৫ পৃষ্ঠা- হাদীস নম্বার ৩৬৩৭ )
ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেন ,
والله ياسين مثلك لم يكن
في العالمين وحق من انباك
অর্থ ; আল্লাহ পাকের কসম ! হে ইয়াসিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সারা জাহানে আপনার কোন মেছাল নাই !" (√ কাসীদায়ে নু'মান লি ইমাম আবু হানীফা -৩৭ নং পংক্তি)
-
সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন ,
يَا نِسَاء النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاء إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوفًا
অর্থ ; হে নবী পত্নীগণ ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে । (সূরা আহযাব - ৩২)
উক্ত আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নবী পত্নীগণকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন , "হে নবী পত্নীগণ ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও ।" নবী পত্নীগণ যদি অন্য নারীদের মত না হয় , তাহলে স্বয়ং নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিভাবে অন্য পুরুষদের মত হবেন ?
-
সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন ,
وَلَئِنْ أَطَعْتُمْ بَشَرًا مِثْلَكُمْ إِنَّكُمْ إِذًا لَخَاسِرُونَ
অর্থ: আর যদি তোমরা তোমাদের মতো কোনো বাশার বা মানুষকে অনুসরণ করো তবে অবশ্যই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সূরা আল-মু'মিনূন-৩৪) অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলছেন যে, যদি কেউ بَشَرًا مِثْلَكُمْ (তোমাদের মতো মানুষকে) অর্থাৎ আমাদের মতো কোনো মানুষকে অনুসরণ করে তাহলে সে অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যারা নবীকে 'আমাদের মতো মানুষ' বলে থাকে, তাদের ভূল ব্যাখ্যা অনুযায়ী উপরোক্ত আয়াতের ভিত্তিতে নবীজীকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ ! অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন ,
وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থ: যারা মহান আল্লাহ পাক এবং তাঁর রসূলের অনুসরণ করে তাদেরকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; যে জান্নাতের নিচ দিয়ে নহর প্রবাহিত থাকবে এবং তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। এটা (তাদের) একটা মহা-সফলতা। (সূরা নিসা-১৩)
যদি চিন্তা ফিকির করার শক্তি সামর্থ্য থাকে তাহলে ফিকির করুক তাদের কার মত নবীজী ছিলেন ? জবাবের আশায় রইলাম ।
-
বুখারি ও মুসলিমে নবী পাক (সাঃ) নিজেই বলে দিয়েছেন ,
عن عبدالله بن عمرو رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لست كاحد منكم
অর্থ ; হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্নিত। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন , আমি তোমাদের কারো মত নই ! (√ বুখারী শরীফ- কিতাবুস সিয়াম- ১ম খন্ড ২৬৩ পৃষ্ঠা – হাদীস ১৮৪০ , √ মুসলিম শরীফ ১৫৮৭ , √ আবু দাউদ শরীফ/১৩৭ )
عن ابي سعيد رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اني لست كهيتكم
অর্থ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্নিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন , নিশ্চয়ই আমি ছুরতান বা আকৃতিগত ভাবেও তোমাদের মত নই।" (√ বুখারী ১/২৬৩ , √ ফতহুল বারী ৪/১৬৫)
عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم ليكم مثلي
অর্থ- হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে আমার অনুরূপ কে রয়েছো ? (√ বুখারী শরীফ ১/২৬৩ , √ ফতহুল বারী ৪/১৬৭)
যারা বলে নূর নবী তাদের মত মানুষ ; তারা উক্ত হাদিসের জবাব দিক । বলুক , তাদের মধ্যে আল্লাহর রসূলের অনুরূপ কে আছে ?

সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>> https://ourbd24.com/hsc-result/ সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>...