জানোয়ারের অপর নাম বাংলাদেশ পুলিশ!
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>
২০ জুলাই, ২০১৭ ১০:৪৩:১৫
৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়া রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
★★★
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সিদ্দিক! সামনে থেকেই আন্দোলন দিয়ে যাচ্ছিল। যার ফলে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাস পড়ে তার চোখে মুখে! লাঠিচার্জ তো ছিলোই।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল নেওয়া হয় তাকে। একটু আগে জানা গেল তার দু'চোখের আলো চিরতরে নিভে গেছে! সে আর কোনদিনও পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেনা- চোখ পুড়ে অন্ধ হয়ে গেছে।
সবার কাছে খাস দিলে দোয়া চেয়েছে তিতুমীর কলেজ! দোয়ার চেয়ে বড় শক্তি আর নাই। এখন একমাত্র দোয়াই পারে তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে
★★★
১.আমাদের শান্তিপুর্ণ আন্দোলনে পুলিশের এহেন বর্বরতার বিচার চাই।
২.আমাদের আটককৃত ভাইদের অতি তারাতারি মুক্তি চাই।
৩.আমাদের দাবির যতাযত বাস্তবায়ন চাই
★★★★★★★★
★★★★★★★★★
২০ জুলাই, ২০১৭ ১০:৪৩:১৫
বিস্তারিত
৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়া রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন তারা। এখন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল শাহবাগ।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর নামকরা ৭টি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হয়। কলেজগুলো হল: ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজ এবং সরকারি বাংলা কলেজ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ার ৫ মাসেও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কোন নির্দেশনা পায়নি যার মাধ্যমে তারা জানতে পারে, তাদের পরীক্ষা কবে হবে, একাডেমিক সিলেবাস কি হবে, পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে, প্রশ্নের ধরণই বা কেমন হবে বা কেমন হবে প্রশ্নের মানবন্টন?
জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষের এবং ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬-৭ মাস আগে অনুষ্ঠিত হলেও ৭টি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ায় এসকল কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাইভা/ব্যবহারিক পরীক্ষা এখনো পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা অন্যান্য কলেজের উক্ত বর্ষের ফলাফল পর্যন্ত ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে।
এছাড়া ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের এবং ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরমপূরণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬-৭ মাস আগে সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব পরীক্ষা কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।
২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত প্রথম মেধা তালিকা থেকে কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ায় এসব কলেজসমূহে আবেদনকৃত প্রথম মেধা তালিকায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব কলেজগুলোতে আবেদনকৃত প্রথম মেধা তালিকায় অনুত্তীর্ণ যে সকল শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি তারা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ডিগ্রী ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেলেও অধিভুক্ত ৭টি কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ডিগ্রী অন্যান্য বর্ষেরও ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখানেও নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সমস্যার সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও তার কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আর এসব কারণেই শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। তাই ৭ দফা দাবিতে রাস্তায় নেমেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল:
১. অধিভূক্ত হওয়া কলেজসমূহের ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রকাশ (একাডেমিক সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নের ধরণ, প্রশ্নের মানবন্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কলেজসমুহের সম্পর্ক ইত্যাদি)।
২. সম্মান ২য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভাইভা/ব্যাবহারিক পরীক্ষা অতি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা।
৩. সম্মান ৩য় বর্ষের এবং মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ।
৪. ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা ।
৫ ডিগ্রীর আটকে থাকা সকল বর্ষের পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করা।
৬. অধিভূক্ত কলেজসমূহের সকল তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরী।
৭. শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সেশনজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়া রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা।
★★★
তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সিদ্দিক! সামনে থেকেই আন্দোলন দিয়ে যাচ্ছিল। যার ফলে পুলিশের ছোঁড়া টিয়ার গ্যাস পড়ে তার চোখে মুখে! লাঠিচার্জ তো ছিলোই।
রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল নেওয়া হয় তাকে। একটু আগে জানা গেল তার দু'চোখের আলো চিরতরে নিভে গেছে! সে আর কোনদিনও পৃথিবীর আলো দেখতে পাবেনা- চোখ পুড়ে অন্ধ হয়ে গেছে।
সবার কাছে খাস দিলে দোয়া চেয়েছে তিতুমীর কলেজ! দোয়ার চেয়ে বড় শক্তি আর নাই। এখন একমাত্র দোয়াই পারে তার দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে
★★★
১.আমাদের শান্তিপুর্ণ আন্দোলনে পুলিশের এহেন বর্বরতার বিচার চাই।
২.আমাদের আটককৃত ভাইদের অতি তারাতারি মুক্তি চাই।
৩.আমাদের দাবির যতাযত বাস্তবায়ন চাই
★★★★★★★★
★★★★★★★★★
২০ জুলাই, ২০১৭ ১০:৪৩:১৫
বিস্তারিত
৭ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়া রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন তারা। এখন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল শাহবাগ।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর নামকরা ৭টি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হয়। কলেজগুলো হল: ঢাকা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ, বদরুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজ এবং সরকারি বাংলা কলেজ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ার ৫ মাসেও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কোন নির্দেশনা পায়নি যার মাধ্যমে তারা জানতে পারে, তাদের পরীক্ষা কবে হবে, একাডেমিক সিলেবাস কি হবে, পরীক্ষা পদ্ধতি কেমন হবে, প্রশ্নের ধরণই বা কেমন হবে বা কেমন হবে প্রশ্নের মানবন্টন?
জানা যায়, ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের ২য় বর্ষের এবং ২০১১-২০১২ শিক্ষাবর্ষের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬-৭ মাস আগে অনুষ্ঠিত হলেও ৭টি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ায় এসকল কলেজের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভাইভা/ব্যবহারিক পরীক্ষা এখনো পর্যন্ত সম্পন্ন হয়নি। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা অন্যান্য কলেজের উক্ত বর্ষের ফলাফল পর্যন্ত ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে।
এছাড়া ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষের এবং ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরমপূরণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬-৭ মাস আগে সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব পরীক্ষা গ্রহণের জন্য কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসব পরীক্ষা কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।
২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত প্রথম মেধা তালিকা থেকে কলেজগুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত হওয়ায় এসব কলেজসমূহে আবেদনকৃত প্রথম মেধা তালিকায় অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। ফলে এসব কলেজগুলোতে আবেদনকৃত প্রথম মেধা তালিকায় অনুত্তীর্ণ যে সকল শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি তারা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ডিগ্রী ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেলেও অধিভুক্ত ৭টি কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ডিগ্রী অন্যান্য বর্ষেরও ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখানেও নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।
সমস্যার সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও তার কোনো সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আর এসব কারণেই শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছে। তাই ৭ দফা দাবিতে রাস্তায় নেমেছে তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল:
১. অধিভূক্ত হওয়া কলেজসমূহের ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রকাশ (একাডেমিক সিলেবাস, পরীক্ষা পদ্ধতি, প্রশ্নের ধরণ, প্রশ্নের মানবন্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কলেজসমুহের সম্পর্ক ইত্যাদি)।
২. সম্মান ২য় ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভাইভা/ব্যাবহারিক পরীক্ষা অতি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা।
৩. সম্মান ৩য় বর্ষের এবং মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ।
৪. ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা ।
৫ ডিগ্রীর আটকে থাকা সকল বর্ষের পরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন করা।
৬. অধিভূক্ত কলেজসমূহের সকল তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরী।
৭. শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং সেশনজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
No comments:
Post a Comment