সিনেমায় ইসলাম অবমাননার অভিযোগের জবাব দিলেন পরিচালক সরয়ার ফারুকী


আওয়ার বিডি ২৪: বিগত কিছুদিন ধরে ফেসবুক সহ অনান্য প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশী আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছিলো  গত ২০১৬ সালের ১লা জুলাই হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনার ওপর নির্মিত “শনিবার বিকেল” নামক চলচ্চিত্রের কিছু স্থিরচিত্র।

এখনো চলচ্চিত্রটি মুক্তি না পেলেও এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ‘লুক’ প্রকাশিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটির প্রকাশিত লুকে অভিনেতা জাহিদ হাসানকে মুখে দাড়ি সহ ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা কে হিজাব সহ ইসলামী বেশভূষায় দেখা গেছে। জাহিদ হাসানের মুখভর্তি দাড়ি আর তিশার পরনে রয়েছে ইসলামী ভাবধারার পোশাক নিয়ে যেন বিতর্কের শেষ নেই।

মূলত আপত্তিটা উঠেছে সেখানেই। ফেসবুক সহ প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা অংশের লোকজন এটা কে ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলেছে। তারা মনে করছেন চলচ্চিত্রটিতে এইসলামী ভাবধারার পোশাকে সন্ত্রাসীদের দেখানো হয়েছে। আর এই নিয়ে ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়া জগতে চলছে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড়।

এরই মধ্যে ছবিটির মূল পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নিজস্ব একাউন্টে এ  নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন।

পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে নিজের একাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘প্রিয় ভাই ও বোনেরা! আমি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ইসলাম বিরোধী নই এবং ইসলামের প্রচারক নই! আমি শুধুমাত্র একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা! মূল চলচ্চিত্র না দেখেই কাউ কে ইসলাম বিদ্ধেষী বলা বা তার বিচার চাওয়া কোন জ্ঞানীর কাজ হতে পারে না।’

ফারুকী আরো বলেন, ভেবেছিলাম আমি চুপ করে থাকব এবং নদীর স্রোত প্রবাহিত হতে থাকবে। কিন্তু মনে হচ্ছে উল্টো এর প্রচারণা দাবানলের আগেই ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়াও ফেসবুক পোষ্টে ফারুকী তার প্রতিষ্ঠান ”ছবিয়াল”-এর ফেসবুক পেজে দেয়া এই বিষয়ের বিস্তারিত বিবৃতিটি দেখতে বলেন।

কি আছে  সরয়ার ফারুকীর ”ছবিয়াল”-এর ফেসবুক পেজে দেয়া বিবৃতিতে?
শনিবার বিকেল নামক চলচ্চিত্রটি নিয়ে  ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ নিজে মনগড়া ব্যাখ্যা দিচ্ছে দাবী করে ”ছবিয়াল”-এর ফেসবুক পেজে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়,।

 তিনি অভিযোগ করে বলেন “শনিবার বিকেল” ছবিটির কিছু স্থিরচিত্র অনলাইনে দিয়ে কিছু সংখ্যক মানুষ মনগড়া এবং ভুলভাল ব্যাখ্যা দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত বিভ্রান্তির ব্যাপারে আমরা আমাদের দর্শকবৃন্দদের চোখ কান খোলা রেখে সজাগ থাকার আহবান জানাচ্ছি। গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না জেনে এবং সিনেমা না দেখেই কেউ কেউ আপন নিজ কল্পনায় গল্প তৈরি করে ফেলছেন। তারা অভিযোগ করে বলেছেন, সন্ত্রাসীদের মুখে দাড়ি এবং মাথায় হিজাব দিয়ে কি বোঝানো হচ্ছে!
এখন আমাদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন হলো, তারা অভিনেতা জাহিদ হাসানের মুখে দাড়ি দেখেই কিভাবে বুঝে ফেললেন যে একজন তিনি সন্ত্রাসী? দাড়ির সাথে সন্ত্রাসের কী কোন সম্পর্ক আছে? তিনি তো পুলিশও হতে পারেন!

আরো বলা হয়, এখন এক দল মানুষ কল্পনা করে একেক বার একেক রকম জিনিস নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করবেন, আর আমরা এসে শুধু খোলাসা করতে থাকবো “না ভাই, এটা এরকম না, এটা আসলে এইরকম”? এই করতে করতে একটি সময় সম্পূর্ন গল্পটাই তাদেরকে বলে দেই? কারন অভিযোগকারীরা তো অনলাইন এ্যক্টিভিষ্ট, তারা তো
আর কষ্ট করে সিনেমা দেখতে হলে যাবেন না। তাহলে তাদের সুবিধার্থে অনলাইনেই সম্পূর্ন গল্পটা লিখে দেই আমরা? যারা এই রকম অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে বলছি ধৈর্য্য ধারন করে আগে সম্পূর্ন ছবি দেখুন, তারপর কথা বললে ব্যপারটা স্বাস্থ্যকর হবে। সকলকে ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment

সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>> https://ourbd24.com/hsc-result/ সবার আগে এইচএসসি/আলিম রেজাল্ট ২০১৯ দেখুন >>...